সাময়িক অসুবিধার জন্য ক্ষমাপ্রার্থী।
করনীয় আমল সমূহঃ
- জামা’আতে সালাত আদায়
- তাদাব্বুরের সহিত কুরআন পাঠ
- সিয়াম(ফরজ বা নফল)
- সকাল-সন্ধ্যার জিকির
- ধারাবাহিক ফরজ ইলম অর্জন
- সুন্নাহ শেখা এবং আমল করা
- মা-বাবার হক আদায়
- পারিবারিক তালিম
- প্রাত্যহিক নির্ধারিত দান
- অনর্থক কাজ থেকে বিরত থাকা
- চোখের হিফাজাত করা
- স্ব-ইচ্ছায় গুনাহ না করা
- তাহাজ্জুদ আদায়ের তাওফিক প্রাপ্তি
- ঘুমানোর পূর্বের আমল
- ঘুমানোর পূর্বে তাওবাহ করা
প্রতিটি করণীয় আমলের খুলাসাঃ
১. জামা’আতে সালাত আদায়
৫ ওয়াক্ত সালাত মসজিদে গিয়ে জামায়াতের সহিত আদায় করা।
২. তাদাব্বুরের সহিত কুরআন পাঠ
নফল আমল সমূহের মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আমল হলো কুরআন তিলাওয়াত।
৩. সিয়াম(ফরজ বা নফল)
রমাদানের ফরজ সিয়াম। এর বাইরের বিভিন্ন সুন্নাহ এবং নফল সিয়াম।
৪. সকাল-সন্ধ্যার জিকির
সকাল সন্ধ্যার জিকির সমূহ যথাযথভাবে আদায় করা। এক্ষেত্রে আমরা হিসনুল মুসলিম বইটি সহযোগিতা নিতে পারি। এছাড়া GreenTech Apps Foundation থেকে পাবলিশকৃত হিসনুল মুসলিম নামে একটি সফটওয়্যারও পেয়ে যাবেন Play Store এ। এর মধ্যে সকাল সন্ধ্যার জিকির নামক ফোল্ডারে আপনি অনেক গুলো দুআ পেয়ে যাবেন। সাথে সকল দুআর জন্য হাকীমুল উম্মত মাওলানা আশরাফ আলী থানভী রহ. এর মুনাজাতে মাকবূল ও মাসনূন দুআ বইটি তো আছেই ইন শা আল্লাহ্।
৫. ধারাবাহিক ফরজ ইলম অর্জন
৬. সুন্নাহ শেখা এবং আমল করা
৭. মা-বাবার হক আদায়
৮. পারিবারিক তালিম
৯. প্রাত্যহিক নির্ধারিত দান
১০. অনর্থক কাজ থেকে বিরত থাকা
১১. চোখের হিফাজাত করেছি
১২. স্ব-ইচ্ছায় গুনাহ করিনি
১৩. তাহাজ্জুদ আদায়ের তাওফিক প্রাপ্তি
আমরা যে কেউ চাইলেই যেকোনো দিন তাহাজ্জুদের সালাত আদায় করতে পারি না। এর তাওফিকটা মহান রবের কাছ থেকে আসে
১৪. ঘুমানোর পূর্বের আমল
১৫. ঘুমানোর পূর্বে তাওবাহ করা
ঘুমাতে যাচ্ছেন জানি; কিন্তু মহান আল্লাহর কাছে ক্ষমা চেয়েছেন কি নিজের গুনাহের জন্য?
.
কারণ যত দ্রুত ক্ষমা প্রার্থনা করা যায়, ততই মঙ্গল! জীবিত অবস্থায় সকল গুনাহের জন্য তাওবাহ করার সৌভাগ্য হলে তো কোন কথাই নেই; আলহামদুলিল্লাহ। সাখরাতুল মাওত বা মৃত্যুর কষ্ট থেকে শুরু করে পরবর্তী প্রতিটি ধাপ মসৃণ হবে ইনশাআল্লাহ।
.
অন্যথায় ভয়ংকর শাস্তির শুরুই হবে সাখরাতুল মাওত থেকে। তারপরে কবরের ‘আযাব!
.
নিশ্চয়ই সাখরাতুল মাওত থেকে কবরের ‘আযাব বেশী কঠোর। তারপরে ইয়াওমাল ক্বিয়ামাহ বা বিচার দিবসের কষ্ট। আর সবশেষে জাহান্নামের শাস্তি!
.
নিশ্চয়ই জাহান্নামের ‘আযাব সর্বনিকৃষ্ট ও কঠোরতম!
.
.
তাই নিজেদের গুনাহের থেকে প্রতিদিন তাওবা/ইস্তিগফার করতে থাকাই সর্বোত্তম পন্থা। কারণ কখন মালাকুল মাওত তাঁর ফরমান নিয়ে শিয়রে হাজির হবে – কেউ জানি না আমরা।
.
সাদ্দাদ বিন আওস (রাদিআল্লাহু আনহু) থেকে বর্নিত। রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেনঃ
.
“সাইয়্যিদুল ইস্তিগফার বা ক্ষমা প্রার্থনা করার সর্বোত্তম পদ্ধতি হলোঃ
.
اللَّهُمَّ أَنْتَ رَبِّي لاَ إِلَهَ إِلَّا أَنْت َ، خَلَقْتَنِي وَأَنَا عَبْدُكَ ، وَأَنَا عَلَى عَهْدِكَ وَوَعْدِكَ مَا اسْتَطَعْتُ ، أَعُوذُ بِكَ مِنْ شَرِّ مَا صَنَعْتُ ، أَبُوءُ لَكَ بِنِعْمَتِكَ عَلَيَّ ، وَأَبُوءُ بِذَنْبِي فَاغْفِرْ لِي ، فَإِنَّهُ لاَ يَغْفِرُ الذُّنُوبَ إِلَّا أَنْتَ
.
[উচ্চারণঃ আল্লা-হুম্মা আনতা রাব্বী লা ইলা-হা ইল্লা আনতা, খালাক্বতানী ওয়া আনা ‘আবদুকা, ওয়া আনা ‘আলা ‘আহদিকা ওয়া ওয়া‘দিকা মাসতাত্বা‘তু, আ‘উযুবিকা মিন শাররী মা সানা‘তু। আবূউ লাকা বিনি‘মাতিকা ‘আলাইয়া, ওয়া আবূউ বিযাম্বী, ফাগফিরলী, ফাইন্নাহু লা-ইয়াগফিরুয যুনুবা ইল্লা আনতা।]
.
অর্থঃ “হে মহান আল্লাহ! আপনিই আমার প্রভু। আপনি ছাড়া কোন ইলাহ নেই। আমাকে আপনিই তো সৃষ্টি করেছেন এবং আমি আপনারই দাস। এবং আমি আমার সাধ্যানুযায়ী আপনার সাথে কৃত অংগীকার ও ওয়াদা পালন করে যাচ্ছি। আমার মন্দ কাজকর্ম থেকে আমি আপনার আশ্রয় চাই। আমার প্রতি আপনার অনুগ্রহ আমি স্বীকার করছি। এবং আমি আমার পাপসমূহও স্বীকার করছি। অতএব, আমাকে ক্ষমা করুন। আর নিশ্চয়ই আপনি ছাড়া তো পাপ ক্ষমা করার কেউ নেই!”
.
তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন – “যে কেউ ঈমান ও দৃঢ় বিশ্বাসের (ইয়াক্বিন) সাথে দিনের শুরুতে এ কথাগুলো ঘোষণা করবে, সে যদি সন্ধ্যা হওয়ার আগেই মারা যায়, তবে সে জান্নাতবাসী হবে। আর যে কেউ ঈমান ও দৃঢ় বিশ্বাসের (ইয়াক্বিন) সাথে রাতের শুরুতে এ কথাগুলো ঘোষণা করবে, সে যদি ভোর হওয়ার আগেই মারা যায়, তবে সে জান্নাতবাসী হবে।”
.
[সহীহ বুখারীঃ অধ্যায় ৮০ (‘দুআ’ অধ্যায়), হাদীস ৩১৮ ও ৩৩৫।
সুনানে আন-নাসা’ঈঃ অধ্যায় ৫০ (‘মহান আল্লাহর কাছে আশ্রয়’ অধ্যায়), হাদীস ৫৫২৪।]
.
.
পাঠককুল, এখন কোটি টাকার প্রশ্ন হচ্ছে – আমরা কি এতই ব্যস্ত যে প্রতিদিন সকালে ও সন্ধ্যায় ২+২=৪ মিনিট সময় ব্যয় করতে পারব না এই দু’আর জন্য?
নিজের সর্বোত্তম মঙ্গলের জন্য?
.
.